ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রথম দিনে অন্তত ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় প্রায় তিন শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ইউক্রেনে ভারি গোলাবর্ষণ চলেছে। শহরগুলোতে ছিল থমথমে পরিবেশ।

রাশিয়ার হামলায় প্রাণ হারানো এমন সামরিক ও বেসামরিক কর্মীকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বীর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। খবর মেট্রোর।

যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম মেট্রোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিন সামরিক অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়ার পর ইউক্রেনের কয়েকটি শহরে বিভিন্ন দিক থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, একেবারে নিখুঁত অস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর ঘাঁটি এবং সামরিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার পাঁচটি বিমান এবং একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করার দাবি জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। পরবর্তীতে আরও একটি বিমান ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনী একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, কয়েক পর্বে রাশিয়া হামলা করবে। হামলার সংখ্যা কেমন হবে এবং কত দিন ধরে চলবে আমরা তা জানি না। তবে আমরা ব্যাপক হামলার প্রাথমিক স্তর লক্ষ্য করছি। রাশিয়া কিয়েভ দখল করতে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর এই কর্মকর্তা আরও বলেন, বুধবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা দিয়ে আক্রমণ শুরু করা হয়। রাশিয়া ইউক্রেনে তিন অঞ্চল দিয়ে এই হামলা করে। এরমধ্যে একটি করা হয়েছে দক্ষিণ থেকে উত্তরে অর্থাৎ ক্রিমিয়া থেকে খেরসনে। এছাড়া আরেকটি আক্রমণ করা হয়েছে উত্তর অঞ্চল থেকে মধ্য ও দক্ষিণ ইউক্রেনে তথা বেলারুশ থেকে কিয়েভে এবং তৃতীয় আক্রমণ করা হয়েছে উত্তরপশ্চিম এবং উত্তরপূর্ব ইউক্রেনে।

ইউক্রেনের বর্তমান সরকারকে হঠিয়ে রাশিয়া তাদের ইচ্ছা মতো চলবে এমন সরকারকে ক্ষমতায় বসাতে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

কলমকথা/ বিথী